ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে অল্প বৃষ্টিপাতে জলাবদ্বতা : নেই পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র স্থানে অল্প বৃষ্টিপাতে জলাবদ্বতার সৃষ্টি হয়ে হাঁটাচলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে লোক জন। দীর্ঘকাল ধরে ড্রেনেজ বা পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা সংস্কার না করায় এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান সচেতন মহল। যার দরুন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্বতায় রুপ নেয় সবর্ত্রই স্থানজুড়ে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ২/১ দিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টি পাতের পানি জমে ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পার্শ্বস্থ সওদাগর পাড়ার সম্মুখে বেশ কিছুদিন ধরে পানি জমে লোকজন যাতাযাতে নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদগাঁও – বাঁশঘাটা সড়কের পুরাতন শমশুর চায়ের দোকান থেকে ব্রীজ পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে সাধারন লোকজনসহ ব্যবসায়ীরা নিদারুন কষ্ট করে চলাফেরা করছে। দীর্ঘসময় ধরে ঈদগাঁও বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার সুযোগে ড্রেনের পার্শ্ববতী ব্যবসায়ীরা দোকান পরিস্কার করে ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলে ভরপুর করে তুলে। কার কারনে,ভরাট কৃত ড্রেন দিয়ে সুষ্ট পরিবেশে পানি যাতায়াত করতে না পারায় যত্রতত্র স্থানে পানি জমে জলাবদ্বতার সৃষ্টি হয়। একই ভাবে প্রধান সড়কের চলাচলের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ঈদগাঁও মাদ্রাসার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি বর্তমানে মরন ফাঁদে পরিনত হয়ে যাতাযাতে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়ক জুড়েই বড় বড় একাধিকটি গর্তে সয়লাভ হয়ে উঠেছে। অল্প বৃষ্টিতে যত্রতত্র স্থানে গর্তে পানি জমে জন ও যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেকায়দায় পড়েছে স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্রছাত্রীরা নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি পেরিয়ে দৈনিক তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসা যাওয়া করতে চোখে পড়ে। লঙ্কর ঝঙ্কর মার্কা সড়ক পেরিয়ে শিক্ষা লাভ করতে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর দূর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেন চালকরা। তবে এ সড়কের একাধিক পথচারীরা জানান, বর্তমানে ব্যস্তবহুল সড়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মাদ্রাসা সড়কটি। সড়ক জুড়েই প্রায় অংশে গর্ত আসলেই ঝুকিঁপূর্ন। রক্ষা পেতে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থীরা জানান, যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মাদ্রাসা সড়কটি সংস্কার অতীব জরুরী।

পাঠকের মতামত: